টাঙ্গাইলের গোপালপুরে একটি চালের মিলে ক্রাসার ধসে তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন
রাইস মিলের ক্রাসার ধসে ৩ শ্রমিক নিহত, তদন্ত কমিটি গঠন
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে একটি চালের মিলে ক্রাসার ধসে তিন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ৯টায় গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল এলাকার একতা এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস্ লিমিটেড নামে একটি চালের মিলের ক্রাসার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে তিন শ্রমিক নিহত হন।
নিহতরা হলেন- কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের ভবদার গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আরিফ (২৮), একই উপজেলার গারাহারা গ্রামের করিম মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম (৩৫) ও নুর মোহাম্মদের ছেলে নাজমুল ইসলাম (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকালে ওই চালের মিলে নতুন ক্রাসার সংযোজন করা হয়। রাতের শিফটে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিকট শব্দে প্রায় এক হাজার মণ চালসহ ওই নতুন ক্রাসারটি ধসে পড়ে। এতে কর্মরত শ্রমিকরা এর নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, গণপূর্ত বিভাগের প্রতিনিধি, কলকারখানা পরিদর্শন কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধি।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন পরিবারকে ২০ হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোপালপুর সার্কেল) মো. সোহেল রানা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
মালিকের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদী না থাকায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, ঘটনার পরপরই বিভিন্ন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনও কাজ শুরু করে। কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা উদঘাটনে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া নিহত প্রতিটি পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে।
No comments