নোয়াখালীর আ.লীগ নেতাকে মারধরের ছবি ভাইরাল
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এমন ঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ ও ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করতে দেখা গেছে অনেককে। আহত হুমায়ন কবির বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, চৌমুহনী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আ.লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা নিয়ে পৌর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন, তার সমর্থক সোহান, লুৎফুল লাহীম মাজেদ প্রকাশ তেল রাসেল, রায়হান, বাহার ও অপুদের নিয়ে সমালোচনা করেন আ.লীগ নেতা হুমায়ন কবির। এর জের ধরে রোববার বিকেলে হুমায়ন কবির ডিবি রোড দিয়ে যাওয়ার পথে সোহানের দোকানের সামনে তার গতি রোধ করে মনির ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে তারা কবিরকে সড়কে ফেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন কবিরকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ.লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা জানান, হুমায়ুন কবির দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি। আ.লীগের নিবেদিত প্রাণ। কিন্তু দেখা গেছে সম্প্রতি বিএনপি থেকে কিছু লোকজন আ.লীগের যোগ দিয়ে দলের নিবেদিত প্রাণদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। যারা হুমায়ুন কবিরকে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে সোহান, ফাহাদ শিকদার সদ্য বিএনপি থেকে আ.লীগে যোগ দেয়। এছাড়া অপুসহ অন্যরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।
তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন চৌমুহনী পৌরসভা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন।
মনির পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, এক সময় দলের কার্যক্রমে হুমায়ন কবির সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে তার ওই অবস্থা নেই। কিছুদিন ধরে তিনি আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন অশালীন পোস্ট করেন। এসব বিষয়ে আমি চট্টগ্রামের আদালতে হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দেওয়ায় তিনি আমার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট ১৪৪ ধারা চলাকালীন স্থানীয় সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরণের ভাই স্বপনসহ আমি চৌমুহনী পাবলিক হলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন হুমায়ন কবির তার লোকজন নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ হামলার ঘটনায় আমি বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
তিনি আরও বলেন, রোববার বিকেলে হুমায়ন কবিরের ওপর হামলার সময় আমি গ্লোবের বিস্কুট কারখানায় ছিলাম, যার সিসি টিভি ফুটেজ আছে। আমার দলের সোহান মাইজদীতে ছিল। হুমায়ন কবিরের ওপর হামলার ঘটনায় আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত নেই।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ৩১ আগস্ট আ.লীগ নেতা মনির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোববার হুমায়ন কবিরকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় তিনিও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments