TjT

করনা প্রতিরোধে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ্ করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতের তালুতে নিয়ে ( 20 সেকেন্ড ) ভাল করে পরিষ্কার করুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা যুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

অনেকে সাকিবকে ক্ষমা করে দিতে বলছে

 অনেকে সাকিবকে ক্ষমা করে দিতে বলছে। ওয়েইট এ মিনিট! আপনি কি ক্ষমা করার কেউ? আপনার ভাই/বোন কি এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে আর শহীদ হওয়ার আগে তাদের ক্ষমা করে দেয়ার অসিয়ত করে গেছে আপনার কাছে?



সাকিবের ২ টা উইকেট দেখে বা ১০০ রান দেখে আপনি সাকিবকে ক্ষমা করে দিতেই পারেন। ভুলে যেতেই পারেন।


বাট যেই মা তাঁর সন্তান হারাইছে এই আন্দোলনে, যে বাবা তাঁর গুলিবিদ্ধ সন্তানের লাশ কাঁধে তুলেছে, সে ক্ষমা করবে না।


যে ভাই তাঁর ভাইকে হারাইছে, যে বোন তাঁর বোন হারাইছে, সে এসব ঠুনকো উইকেট দিয়ে সাকিবকে ক্ষমা করবে না।


আমরা গোল্ডফিশ মেমোরির জাতি। আন্দোলন শেষ, নিজের কিছু হয় নাই, এখন এরে ওরে ক্ষমা করে মহান সাজতেছি।


অথচ আমরা কি আদৌ ক্ষমা করার কেউ?


আমরা তো এই আন্দোলনের স্টেক হোল্ডার না। আমরা আন্দোলনের বেনিফেশিয়ারী। আন্দোলনে গেছি, ক্ষতি হয় নাই, মরি নাই, এখন স্বাধীনতা উপভোগ করতেছি।


আন্দোলনের স্টেক হোল্ডার কারা জানেন? ঐ শহীদ ফ্যামিলিগুলা। কারে ক্ষমা করা হবে, কারে ক্ষমা করা হবে না, ঐটা তাদের বুঝতে দেন। আপনার বোঝার দরকার নাই।


সাকিবের চেহারা দেখে খুব মায়া লাগলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে একটু ঘুরে আসেন। চোখ হারানো মেয়েটা বা পা হারানো ছেলেটার সাথে কথা বলে আসেন। আপনি যেই চোখ দিয়ে সাকিবের খেলা দেখে মায়া ছড়াচ্ছেন, সেই চোখ কেড়ে নেওয়াতে শেখ হাসিনার পাশে সাকিবের সায় ছিলো।


বাংলাদেশে একটা জেনোসাইড হয়েছে।


এই জেনোসাইডের নেতৃত্ব দিয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ। সাকিব আর মাশরাফি ছিলেন সেই আওয়ামীলীগ এর ৩০০ জন মাথার মধ্যে দুইটা মাথা।


এখন এই জেনোসাইডে যদি সাকিবের দায় না থাকে, তাহলে হাসিনারও তো দায় নাই। কারণ সেও তো গণভবনে বসেই ছিলো, সে তো আর রাস্তায় নেমে লোক মারেনি, তাই না?


পুলিশের উপর শুধু সচিবদের না, বরং এমপিদেরও কন্ট্রোল থাকে। আর আওয়ামীলীগ দলগতভাবেই তো খুন করেছে বহু পোলাপাইনকে। এগুলোর দায় যতটা হাসিনার, ঠিক ততটাই সাকিবের, ঠিক ততটাই মাশরাফির।


এখন ওরা যত যাই করুক, তাতে তাদের হাতের রক্ত মুছবে না। রোমের নিরো তো চমৎকার বাঁশি বাজাতো, তাতে কি তার সাতখুন মাফ হয়ে গেছে?


ক্রিকেট খেলা দেখা অপরাধ না। কিন্তু দুইটা উইকেট দেখে একজন জেনোসাইডারের প্রতি সিমপ্যাথি দেখানোটা খুব জঘন্য একটা অপরাধ।


জালিমের প্রতি দয়া করাটা মজলুমের প্রতি অন্যায়ের শামিল। আপনি সাকিবের প্রতি এমপ্যাথি দেখানো মানে এই বিপ্লবে প্রাণ হারানো হাজারটা পরিবারের উপর আপনি জুলুম করলেন। আপনিও একজন জালিম।


সাকিব, মাশরাফি ছিলো মুগ্ধ, আবু সাঈদদের খুনি। গনহত্যার দোসর। এদের বিচার এই বাংলার মাটিতে না হওয়া পর্যন্ত হাজারো শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হবে না।


সাকিবের উইকেট দেখে আপনি ভুলতে পারেন, বাট সাকিবের উল্লাস দেখে মুগ্ধর সেই "পানি লাগবে, পানি?" কথাটা আমরা কোনদিন ভুলবো না।


আমার ভাইদের রক্ত এতো সস্তা না যে দুইটা উইকেট আর ৫০ রান দিয়ে মুছে ফেলা যাবে।

No comments

Powered by Blogger.

আসুন করনা সম্পর্কে সচেতন হই সুস্থ থাকি ।