TjT

করনা প্রতিরোধে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ্ করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতের তালুতে নিয়ে ( 20 সেকেন্ড ) ভাল করে পরিষ্কার করুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা যুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

একমালিকানা ও অংশীদারী ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থ্ক্য / Differences between sole tradership and partnership business

 

একমালিকানা ও অংশীদারী ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থ্ক্য

Differences between sole tradership and partnership business



সহজ গঠন, অসীম দায়, প্রত্যক্ষ সম্পর্ক্য, স্বাধীন সত্তার অভাব, সহজ বিলোপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের মধ্যে মিল থাকলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থ্ক্য বিদ্যমান।

নিম্নে পার্থ্ক্যসমূহ উল্লেখ করা হলোঃ

 

পার্থ্’ক্যের বিষয়

একমালিকানা ব্যবসায়

অংশীদারি ব্যবসায়

১. সদস্য সংখ্যা

এই ব্যবসায়ের মালিক একজন মাত্র ব্যাক্তি ।

এরূপ ব্যবসায় একাধিক মালিক বা সদস্য থাকে।

২. মূলধন

এরূপ ব্যবসায়ের মূলধন সাধারণত কম হয় ।

সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই ব্যবসায়ের মূলধন সাধারণত বেশি হয় ।

৩. আয়তন

মূলধন কম হওয়ায় এরূপ ব্যবসায় সাধারণত ক্ষুদ্র প্রকৃতিতে গড়ে উঠে।

তুলনামূলক বিচারে এই ব্যবসায়ের প্রকৃতি বড় হয়। আয়তন বিচারে এটি মাঝারি আয়তনের ব্যবসায় সংগঠন।

৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ

এ ক্ষেত্রে মালিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের একক ক্ষমতার অধিকারী। তাই দ্রুত সিদ্ধন্ত গ্রহণ করা যায়।

এ ক্ষেত্রে সকল অংশীদারের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় । বিধায় অনেক ক্ষেত্রোই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয়।

৫. পরিচালনা 

এ ধরনের ব্যবসায়ে পরিচালনার মূল দায়িত্ব একক মালিকের উপর ন্যস্ত।

এক্ষেত্রে সকল অংশীদার ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণের অধিকারী । তবে তাদের পক্ষে যে কেউ তা পরিচালনা করতে পারে।

৬. লাভ-লোকসান বন্টন

এই ব্যবসায়ের সমস্ত লাভ মালিক একাই ভোগ করে এবং লোকসান একাই বহন করে

এ ক্ষেত্রে লাভ-লোকসান চুক্তি অনুযায়ী অন্যথায় সমান হারে অংশীদারদের মধ্যে বন্টন হয়।

৭. পারস্পরিক প্রতিনিধিত্ব

এরূপ ক্ষেত্রে মালিক একজন বিধায় তার পক্ষে অন্য কেউ প্রতিনিধি বিবেচিত হয় না।

এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক অংশীদার  একে অন্যের প্রতিনিধি বিবেচিত হয়।

৮. মালিকের স্বাধীনতা

এ ক্ষেত্রে মালিকের ব্যক্তি-স্বাধীনতা সর্বাধিক।

এ ক্ষেত্রে অংশীদারদের ব্যক্তি-স্বাধীনতা তুলনামূলক বিচারে কম হয়।

৯. সাংগঠনিক দক্ষতা

সাংগঠনিক দক্ষতার বিচারে এরূপ সংগটন অধিক দক্ষ বিবেচিত হয়।

এ ক্ষেত্রে নানান জটিলতার কারণে সংগঠন অধিক দক্ষ হতে পারে না।

১০. সম্প্রসারণের সুযোগ

একক মালিকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে এতে সম্প্রসারণের সুযোগ কম থাকে।

এক্ষেত্রে সদস্য বেশি হওয়ার এবং প্রয়োজনে সর্বোচ্চসীমা সংখ্যক সদস্য নেয়ার সুযোগ থাকায় সম্প্রসারণের সুযোগ বেশি হয়।

১১. নিবন্ধন

এ ধরনের ব্যবসায় নিবন্ধনের কোন প্রয়োজন পড়ে না।

ইচ্ছা করলে এ ধরনের ব্যবসায় নিবন্ধন করা যায়।

১২. আইনের সমর্থ্ন

এরূপ ব্যবসায়ের জন্য পৃথক কোন আইন নেই।

১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন এ দেশে এ ব্যবসায়ের জন্য বিশেষভাবে প্রণীত আইন।

১৩. নমনীয়তা

এরূপ ব্যবসায়ে সহজেই পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে চলা যায়।

তুলনামূলম বিচারে এ ক্ষেত্রে নমনীয়তার সুযোগ কম থাকে।

১৪. ভুল বোঝবিুঝির সম্ভাবনা

মালিক একজন হওয়ায় এক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির কোনো প্রশ্ন আসে না।

এক্ষেত্রে অংশীদারদের মধ্যে নানান কারণেই ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে।

১৫. গঠন ও বিলোপ

এই ব্যবসায়ের গঠন ও বিলোপ উভয়ই সহজ ।

এই ব্যবসায়ের গঠন ও বিলোপের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা পালনের প্রয়োজন পড়ে।



মোটকথা একমালিকানা ব্যবসায় ও অংশীদারি ব্যবসায় স্ব-স্ব ক্ষেত্রে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তবে অংশীদারি ব্যবসায় অপেক্ষা একমালিকানা ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনা পদ্ধতি সহজ হওয়ার কারণে সমগ্র বিশ্বে একমালিকানা ব্যবাসায় পরিমাণই সর্বাধিক।

No comments

Powered by Blogger.

আসুন করনা সম্পর্কে সচেতন হই সুস্থ থাকি ।