TjT

করনা প্রতিরোধে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ্ করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতের তালুতে নিয়ে ( 20 সেকেন্ড ) ভাল করে পরিষ্কার করুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা যুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

ইন্টারনেট অথবা বিশ্ব যোগাযোগ ও ইন্টারনেট অথবা বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেটের ভূমিকা



ইন্টারনেট


ইন্টারনেট

ভূমিকা :

 মানব সভ্যতার কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে বিজ্ঞানের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল সে অগ্রযাত্রার চরম সার্থকতার ছোয়াঁ পেয়েছে। শুরু থেকে অদ্যাবধি বিজ্ঞান মানুষকে যা কিছু দিয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ ইন্টারনেট। এটি মানুষের জীবনের চলার পথকে অভাবনীয় রূপে সহজ করে তুলেছে । অধুনা যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের যুগান্তকারী বিপ্লব সাধন করেছে । ইন্টারনেটের বাহ্যতঃ তেমন কোনো সীমা নেই এর দ্বারা প্রায় সব কিছুই সম্ভব ।

ইন্টারনেট কিঃ 

ইন্টারনেটের একক কোনো বিষয় নয়,এটি একটি জটিল সমন্বিত বিষয়। অসংখ্য নেটওয়ার্কে সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বব্যাপী বৃহৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট । অর্থাৎ ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক । নেটওয়ার্ক্ভুক্ত কম্পিউটারগুলোকে অন্যান্য    নেটওয়ার্ক্ভুক্ত কম্পিউটারের সাথে নেটওয়ার্ক্ গড়ে তোলাই ইন্টরনেট।


 ইন্টারনেটের আদিকথাঃ


পারমাণবিক আক্রমণ প্রতিহত করেন বৈজ্ঞানিক তথ্য ও অন্যান্য তথ্যাদি বিনিময়ের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ 1969 সালে ইন্টারনেট উদ্ভাবন করে।
প্রথমদিকে এর পরিচিত ছিল 'মিলনেট' নামে । সামরিক উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট উদ্ভাবিত হলেও সময়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে ক্রমান্বয়ে এটি বেসামরিক দিকে মোড় নেয়। 



ইন্টারনেটের বিকাশ :



 সত্তর এবং আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত হয় । আশির দশকের শেষার্ধে স্নায়ু যুদ্ধের সম্ভাবনা হ্রাস পেলে নেটওয়ার্কগুলো বেসামরিক বা সাধারণ্য ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় । কম্পিউটার ও সেই সাথে নেটওয়ার্কিং সফটওয়্যারের দ্রুত উন্নতির ফলে ইন্টারনেট এর জনপ্রিয়তা ও প্রসার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় । বর্তমানে বিশ্বের প্রায়   আট কোটির মত কম্পিউটারে ব্যবহারকারী ইন্টারনেট এর আওতাভুক্ত এর সংখ্যা দিনদিন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । 




ইন্টারনেটে প্রবেশের জন্য যা প্রয়োজন:



 ইন্টারনেট প্রবেশের জন্য মাত্র চারটি জিনিসের দরকার । এগুলো হলো কম্পিউটার মডেম, টেলিফোন লাইন ও  ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এদের কাজ গুলো নিম্নরূপ :



কম্পিউটার : 


কম্পিউটার তথ্যাদি টাইপ করতে সাহায্য করে এবং তারা স্বীয় মেমোরিতে রাখে । অতঃপর তা নেটওয়ার্কিং সফটওয়ারের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে তথ্য পাঠানোর প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে। 


মডেম : 


একটি সাধারন টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে তথ্যাদি পাঠানের উপযোগী করতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য দিকে ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ এবং এনালগ থেকে ডিজিটাল রূপান্তর করার কাজ সম্পন্ন করে ।


টেলিফোন লাইন : 


টেলিফোন লাইন তথ্যাদি দ্রুত স্থানান্তর করে এক্ষেত্রে এনালগ অপেক্ষা ডিজিটাল টেলিফোন তথ্যাদি দ্রুত স্থানান্তর করতে পারে ।



ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার :  



ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অনেকাংশে পোস্ট অফিসে ন্যায় ভূমিকা পালন করে । এটি এর মক্কেলদের কাছ থেকে মাসিক বা ব্যবহৃত সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটি চার্জ নিয়ে তাদের নিজস্ব জনশক্তি কম্পিউটার ফাইবার অপটিক্স বা স্যাটেলাইট ( VSAT ) মাধ্যমে দেশে বিদেশে অপরাপর ইন্টারনেট সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সাহায্য করে ।



ইন্টারনেটের উপকারিতা : 


একবিংশ শতাব্দীর আজকের বিশ্বে ইন্টারনেটের বহুমুখী উপকারিতা বর্তমান । যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে । ইন্টারনেট চোখের পলকে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্যাদি আদান-প্রদান করে থাকে । রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, শিক্ষা ,চিকিৎসা ও বিনোদন ইত্যাদিতে এর অবদান অপরিসীম ।



ইন্টারনেটের অপকারিতা : 


ইন্টারনেটের সাহায্যে অনেক ধ্বংসাত্মক কাজ করা সম্ভব ইদানিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ পর্নো ছবি দেখা জুয়া খেলা  ইত্যাদি কালচার বাড়ছে । 1988 সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ ' ইন্টারনেট ওয়ার্ম'  নামক ভাইরাস ঢুকায়। ফলে বহু কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যায় । অন্য একটি ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন 13 বছর বয়সী স্কুল ছাত্র তাদের স্কুলে বোমা রেখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরে তার বিস্ফোরণ ঘটায় ।
দু-একটি নয় এমন বহু উদাহরণ রয়েছে । প্রকৃত বিচারে ইন্টারনেটের কোন অপকারিতা নেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অসৎ উদ্দেশ্যের মাধ্যই এর অপকারিতা নিহিত । ইন্টারনেটের তথাকথিত অপকারিতার জন্য ইন্টারনেট দায়ী নয় দায়ী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ।



বাংলাদেশে ইন্টারনেটের :



 ব্যবহার গোটা বিশ্ব যেখানে ইন্টারনেটের বদৌলতে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে পারে না । আর পিছিয়ে নেই ও । হাজার 1996 সালের মাঝামাঝিতে প্রথম ইন্টারনেটের সাথে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা ঘটে । প্রাথমিকভাবে টি এন্ড টি বোর্ড,আই এস এন, রয়টার্স সহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ভিস্যাট স্থাপনের  অনুমতি প্রদান করে । বাংলাদেশের অসংখ্য সদস্য ইতিমধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করেছে ।



উপসংহার :  


বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উপহার ইন্টারনেট । ইন্টারনেট বিশ্বের এক প্রান্তের মানুষের সাথে অন্য প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অভাবনীয় রূপে সহজ করে দিয়েছে বলতে গেলে গোটা বিশ্বকে একটি পরিবারে পরিণত করেছে । বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের ছোঁয়া লাগলে ও মাত্রা খুব কম। আগামী দিনে ইন্টারনেট ব্যবহারে উন্নতবিশ্বের সাথে আমরা তাল মিলিয়ে থাকতে পারবো আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।












No comments

Powered by Blogger.

আসুন করনা সম্পর্কে সচেতন হই সুস্থ থাকি ।