সখিপুর উপজেলার পটভূমি
এক নজরে জেনে নেয়া যাক সখিপুর উপজেলার পটভূমিঃ
উৎপত্তিঃ
টাঙ্গাইল জেলা সদর হতে সখিপুর উপজেলা পূর্বদিকে প্রায় ৩৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। লাল ধূসর মাটির উপরে সবুজ শ্যামল, দু‘চোখ ভরে দেখার মতো, দু হাত ভরে নেবার মতো শান্ত বনভূমি, অবারিত ফসলের মাঠ নিয়ে গঠিত এ অঞ্চল। তার ভেতর লোকালয়। শাল-গজারিসহ নানাবিধ বৃক্ষের ছায়া সুনিবিড় পাখির কলকাকলিতে মুগ্ধ এ সখিপুর যেন সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলা ভূমি। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় নানাবিধ কারণে সখিপুর বৈচিত্রময়। সখিপুর উপজেলায় ০৮টি ইউনিয়ন, ০১টি পৌরসভা, ৬৫ টি মৌযা ও ১২৩ টি গ্রাম রয়েছে। কালিহাতী উপজেলার ০৩টি ইউনিয়ন যথা কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, কালিয়া এবং বাসাইল উপজেলার ০৩ টি ইউনিয় যথা গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা নিয়ে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে সখিপুর (থানা) উপজেলা গঠিত হয় এবং থানাকে উপজেলায় রুপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। পরবর্তীতে যাদবপুর ও গজারিয়া ভেঙ্গে যথাক্রমে কালমেঘা ও দাড়িয়াপুর নামে আরো দুটি ইউনিয়ন গঠন করা হয়।
সীমানাঃ
সখিপুর উপজেলার আয়তন ৪২৯.৬৩ বর্গ কিলোমিটার।
উত্তরে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী এলাকা, দক্ষিণে মির্জাপুর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা, পূর্বে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা এবং পশ্চিমে কালিহাতী ও বাসাইল উপজেলা।
নামকরণঃ
সখিপুর নামকরণ কবে কোথায় কিভাবে হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা খুবই কঠিন। তবে আকুল মন্ডল নামক একজন রাজবংশী তার দলবল নিয়ে বর্তমানে সখিপুর উপজেলা পুকুর পাড়ে বসতি স্থাপন করেন। রাজবংশীদের মেয়েগুলো খুবই সুন্দরী ছিল। আকুল মন্ডলের একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটির নাম ছিল সখী। এ অনিন্দ্য সুন্দরী ‘‘সখী’’ এর নাম অনুসারে এ এলাকার নামকরণ করা হয় ‘‘সখিপুর’’।
ভূ-প্রকৃতিঃ
ভূ-প্রকৃতির আলোকে এ অঞ্চলের মাটির গঠন বৈশিষ্ট্য প্লাইস্টোসিন কালের অন্তর্ভূক্ত। এ অঞ্চলে ভাওয়াল ও মধুপুর গড়ের অংশ হিসেবে খ্যাত। এখানকার মাটির বৈচিত্র্য মধুপুর গড়ের সাথে অনেক অংশে অভিন্ন।
জলাশয় প্রধান নদীঃ বংশী ও সালদা।
No comments