TjT

করনা প্রতিরোধে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ্ করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতের তালুতে নিয়ে ( 20 সেকেন্ড ) ভাল করে পরিষ্কার করুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা যুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন। পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকুন। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।

কবিতা : কথোপকথন ৩৮ ___ পূর্ণেন্দু পত্রী

কথোপকথন ৩৮___ পূর্ণেন্দু পত্রী: নন্দিনী! আমার খুব ভয় করে, বড় ভয় করে!কোনও একদিন বুঝি জ্বর হবে, দরজা দালান ভাঙ্গা জ্বরতুষার পাতের মত আগুনের ঢল নেমে এসেনিঃশব্দে দখল করে নেবে এই শরীরের শহর বন্দর।বালিশের ওয়াড়ের ঘেরাটোপ ছিঁড়ে ফেলা তুলোএখন হয়েছে মেঘ, উঁড়ো হাস, সাঁদা কবুতর।সেই ভাবে জ্বর এসে আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে অন্য কোন ভুমন্ডলেনন্দিনী! আমার খুব ভয় করে ,বড় ভয় করে।: বাজে কথা বকে বকে কি যে সুখ পাও শুভঙ্কর।সত্যি বুঝি না।কার জন্যে ছুরি নিয়ে খেলায় মেতেছো?তুমি কি আমার চোখে রক্তদৃশ্য এঁকে দিতে চাও?: ছুরি কই? ছুরি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি জঙ্গলেখাঁ খাঁ দুপুরের মত লম্বা ছুরি ছিল বটে কিছুদিন আগে।তখন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলতখন যে যুদ্ব দাঙ্গা লুটপাট ডাকাতির সম্ভাবনা ছিলএখন ভীষন ভয় ছাড়া অন্য কোন প্রতিপক্ষ নেই ।যুদ্ব নেই কামানের তোপ নেই, অসুখ বিসুখ কিছু নেইভয় ছাড়া অন্য কোন বীজানুর মারাত্মক আক্রমন নেই ।: আমার যা কিছু ছিল সবই তো দিয়েছি,শুভঙ্কর।তোমার বাঘের থাবা তাও ভরে দিয়েছি খাবারে।চাঁদোয়ার মত ঘন বৃক্ষ ছায়া টাঙ্গিয়ে দিয়েছিমাথার উপরে, ঠিক আকাশের মাপে মাপে বুনে।তবুও তোমার এত ভয়?তবুও কিসের এত ভয়?: সেই ছেলেবেলা থেকে যা ছুয়েছি সব ভেঙ্গে গেছে।প্রকান্ড ইস্কুলবাড়ি কাচের চিমনীর মত ঝড়ে ভেঙ্গে গেল।একান্নবর্তীর দীর্ঘ দালান-বারান্দা ছেড়া কাগজের কুচি হয়ে গেল।কচি হাতে রুয়ে রুয়ে সাজিয়ে ছিলাম এক উৎফুল্ল বাগানকুরে কুরে খেয়ে গেছে লাল পিঁপড়ে,পোকাও মাকড়।একটা পতাকা ছিল, আকাশের অদ্বিতীয় সুর্যের মতনতর্কেও বিতর্কে তাও সাত আটটা টুকরো হয়ে গেল ।গাঁয়ের নদীকে ছুঁয়ে কী ভুল করেছিনদীর ব্রীজ কে ছুঁয়ে কী ভুল করেছিকাগজ ও মুদ্রাযন্ত্র ছুয়ে আমি কী ভুল করেছি!নন্দিনী।তোমাকে যদি বাগান, পতাকা, ব্রীজ, কাগজের মতন হারাই?


No comments

Powered by Blogger.

আসুন করনা সম্পর্কে সচেতন হই সুস্থ থাকি ।